২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল রান নিতে
দৌঁড়ানোর সময় মুস্তাফিজকে সজোরে ধাক্কা দেন তিনি। এতে ক্রিজের বাইরে ছিটকে
পড়েন মুস্তাফিজ। খানিক সময়ের জন্য ছিটকে পড়েন মাঠ থেকেও। তার পরিবর্তে
২৫তম ওভার শেষ করতে বল হাতে নিতে হয় নাসির হোসেনকে। নাসিরের বোলিংয়ের সময় এবং ওভার শেষে
বারবার মুস্তাফিজকে ধোনির ধাক্কা দেওয়ার দৃশ্যটি দেখানো হতে থাকে। এতে
স্পষ্ট বোঝা যায়, কথিত ক্যাপ্টেন কুল মেজাজ হারিয়ে আন্তর্জাতিক মাঠের
একেবারে নবীন মুস্তাফিজকে সজোরে ইচ্ছাকৃতভাবেই ধাক্কা দেন। উল্টো আবার
মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে ক্রিজে হাঁটার অভিযোগ তোলেন আম্পায়ারের কাছে।
ধোনির এই অক্রিকেটারসুলভ আচরণ মানার মতো
না হলেও ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বলে চলতে থাকে। পরের ওভারে বল করতে আসেন
সাকিব আল হাসান। ২৬তম ওভারের তৃতীয় বলেই ভারতের সেরা অধিনায়ক বলে কথিত
ধোনিকে মাত্র ৫ রানে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বিশ্বসেরা
অলরাউন্ডার।
এরপর দেখা যায়
সাকিব-মুশফিক-তামিম-মাশরাফিদের বুনো উল্লাস, যেন ম্যাচেই জয়লাভ হয়ে গেছে।
আসলে এটা যে ধোনির ধাক্কায় মুস্তাফিজের মাঠ থেকে ছিটকে যাওয়ার চরম প্রতিশোধ
সে ইঙ্গিত দেওয়া হতে থাকে ক্রিকইনফোর কমেন্টারিতেও।
অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকতে না পারা ধোনির এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে রাগ ঝাড়ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
বলেন, ‘কনুই মেরে ক্রিকেট জেতা যায় না। ওটা জিততে খেলতে হয় বা
আম্পায়ার-আইসিসির হেল্প লাগে। আফসোস, দুটোর কোনোটাই পারছে না ইন্ডিয়া।
আফসোস, আফসোস, আফসোস।‘সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তের বিএসএফ দেখিনি, ধোনিকে দেখলাম…’
সাংবাদিক রবিউল ইসলাম আওলাদ বলেন, ‘ধাক্কা দিলে ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়।’
বাকি বিল্লাহ নামে একজন বলেন, ‘অনভিজ্ঞ
মুস্তাফিজ ভুল করে ব্যাটসম্যানের লাইনে দাঁড়িয়েছিলো- ইচ্ছা করে নয়। কিন্তু
অভিজ্ঞ ধোনি ইচ্ছা করে গুরুতর আঘাত করলো তাকে- ওটাকে … ধোনি তো আর শুধু
শুধু বলা হয় না। যা হোক, সাকিব জবাব দিয়েছে- …টা পত্রপাঠ বিদায় হয়েছে।’
আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, ‘লজ্জা এমএস…সে একটা বাচ্চা। ক্রিকেটের স্পিরিট এখানে ধর্ষিত হলো… লজ্জা তোমার প্রতি, এমএস…!’
‘শিশু নির্যাতন করে সঙ্গে সঙ্গেই শাস্তি পেলেন ধোনি’ বলেও লিখেছেন এক ফেসবুক ব্যবহারকারী।
ক্ষোভ প্রকাশের ধরন যেমনই হোক, ধোনির এ আচরণ সমানভাবেই হতবাক করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
No comments:
Post a Comment