Friday, June 5, 2015

জেনে নিন, ফেসবুকের অতি প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকার্ট- কী



বিশ্বের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আজকাল ইন্টারনেটের সাথে যোগাযোগ রাখেন এমন প্রায় সবারই ফেসবুক একাউন্ট আছে। কেউ কেউ তাদের ফিচার ফোনেও এসএমএস বা ইউএসএসডি (ফ্ল্যাশ মেসেজ)-এর মাধ্যমে ফেসবুকের টেক্সট অনলি ভার্সন ব্যবহার করে থাকেন। আর ব্যাসিক ইন্টারনেটযুক্ত ফোনে অনেকেই ফ্রি’তে ‘জিরো ফেসবুক’ উপভোগ করেন। এছাড়া মোবাইল ব্রাউজার, অ্যাপস ও মূল ওয়েব ভার্সন তো রয়েছেই।

আজকে আমরা ফেসবুক ডেস্কটপ ভার্সনের কিছু শর্টকার্ট জানব। আপনার ওয়েব ব্রাউজার যদি ফায়ারফক্স হয়, তাহলে নিচের কি-গুলোর সাথে শিফট’কিও (ঝযরভঃ) প্রেস করতে হবে। যেমন, ফায়ারফক্সে সরাসরি ফেসবুক হোমপেজে যেতে চাইলে : ঝযরভঃ + অষঃ + ১ প্রেস করুন। গুগল ক্রোম হলে শুধু নিচের কিগুলো প্রেস করলেই চলবে।






ফেসবুকের শর্টকার্ট- কী




Alt+ 1: হোম পেইজ।

Alt+ ২: : আপনার প্রোফাইল (ওয়াল)।

Alt+ ৩: কে আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালো সেই তালিকা দেখাবে।

Alt+ ৪: : কে আপনাকে মেসেজ পাঠালো তা দেখাবে।

Alt+ ৫ : কী কী নোটিফিকেশন আসলো তা দেখাবে।

Alt+ ৬: অ্যাকাউন্ট সেটিংস।

Alt+ ৭ : অ্যাকাউন্ট প্রাইভেসি।

Alt+ ৮: ফেসবুকের ফ্যান পেইজ।

Alt+ ৯: ফেসবুকের রাইট অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি।

Alt+ ০: : ফেসবুক হেল্প সেন্টা।


Alt+ m: নতুন মেসেজ লেখার বক্স আনবে।


বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখুন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ফেসবুকের অতিরিক্ত ব্যাবহারে

ফেসবুক ও এর মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। কিন্তু বেশি ব্যবহারে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে- বিভিন্ন গবেষণায় আগেই বলা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন যুবক-যুবতী এখন স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পিসির দিকে ঝুঁকছেন, যা তাদের যৌনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুঁদ হয়ে থাকায় অনেকে তাদের যৌনসম্পর্ক ও অন্যান্য বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। প্রযুক্তির সঙ্গে বেশি অন্তরঙ্গ তাদের শারীরিক সম্পর্কে ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়ছে।
মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত যৌন বিষয়ক চিকিৎসক প্রকাশ কোথারি কোথারি বলেন, ‘হঠাৎ আমার কাছে পরামর্শ নিতে যুগলদের বিশেষ করে পেশাজীবী তরুণ-তরুণীদের ঢল নেমেছে। সারা রাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডুবে থাকা ওই যুগলদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার পরই চিকিৎসকের শরানপন্ন হয়েছেন।’
Facebook

সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে কো
থারি জানান, বর্তমানে ২০ যুগলকে যারা গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারের ফলে যৌনকাজে আগ্রহ হারিয়েছে, চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
নয়া দিল্লির মানসিক স্বাস্থ্য ও আচরণগত বিজ্ঞানের মহাপরিচালক সামির পারিখা বলেন, ‘যখন যুবক-যুবতীরা অফিস করেন এবং বিরতিহীনভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তখন তা্রা তাদের পার্টনার ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন না। ফলে তাদের সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হয় যুগলদের। এ সময় তারা তাদের ভিন্নমত, অনুভূতি ও বিষয়গুলো শেয়ার এবং এতে মনযোগ দিতে পারেন।
সম্পতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের ২৪ হাজার বিবাহিত যুগলের ওপর একটি গবেষণায় চালিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে নিজের চেয়ে অন্যের জীবনযাপনের বিষয় সংশ্লিষ্ট বিষয় পড়তে ভালোবাসেন তারা। এছাড়া তারা অনেক সময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ফলে তাদের মধ্যে যৌনকাজে অনীহা তৈরি হয়।


আসছে আজীবন মেয়াদী ইন্টারনেট

বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের গ্রাহকদের জন্য ‘আজীবন ইন্টারনেট’ নামের নতুন আকর্ষনীয় ইন্টারনেট প্যাক চালু করেছে। বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরে এই ধরণের অফার এই প্রথম।
Internet
এই অফারের আওতায় ২৫ টাকায় ২৫ মেগাবাইট এবং ৪০ টাকায় ৪০ মেগাবাইট ইন্টারনেটে থাকছে আজীবন মেয়াদ। এয়ারটেলের যে সকল গ্রাহক যেকোনো সময়ে ঝামেলামুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এয়ারটেল নিয়ে এসেছে এই অফারটি।
যে সমস্ত গ্রাহকদের অল্পবিস্তর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এবং যারা মেয়াদসহ প্যাক কিনতে চান না, এই প্যাকগুলো সে সকল গ্রাহকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করবে। এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে লাইট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিজেরা স্বাধীনভাবে তাদের ডাটা প্যাক ব্যবহার করতে পারবেন।
অফারটি সম্পর্কে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও পিডি শর্মা বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য দারুণ এই দুটি অফার নিয়ে আসতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের বিধি-নিষেধহীন সহজ ইন্টারনেট সেবা দিতে এয়ারটেল বাংলাদেশ আর একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।’
এই প্যাকগুলো ব্যবহার করে এয়ারটেল গ্রাহকরা অবিরাম ব্রাউজিং ও স্ট্রিমিং উপভোগ করতে পারবেন কোনো ব্যান্ড লিমিটেশন ছাড়াই। গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারবেন। এই অফারগুলোর সঙ্গে সকল প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড গ্রাহকরা ফ্রি উইকিপিডিয়া ও টুইটার উপভোগ করতে পারবেন।

জেনে নিন , কেমন হবে ২০২৫ সালের পৃথিবী !

প্রতিদিন বদলাচ্ছে বিশ্ব। আর এই বদলের প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে বিজ্ঞান। আজ যা রূপকথা, কাল তা-ই বিজ্ঞানের অতি সাধারণ বাস্তবতা। সামনের দিনগুলোতে আর কী কী বিস্ময় নিয়ে জীবনকে বদলে দেবে এই বিজ্ঞান? কী পরিবর্তন ঘটতে চলেছে?
মুরস ল` অনুসারে, ২০২৫ সালে নিত্য জীবনযাপনে সম্ভাব্য এই ৮টি উল্লেখযোগ্য বদল হবে বলে পূর্বাভাস করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১) হাজার ডলারে মিলবে মস্তিষ্ক
২০২৫ সালে মাত্র ১০০০ ডলার মূল্যে পাওয়া যাবে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন অত্যাধুনিক কম্পিউটার। এই কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ১০০০০০০০০০টি সাইকেল গুণে ফেলতে সক্ষম হবে, যা কিনা মানুষের স্বাভাবিক মস্তিষ্কের বিশ্লেষক গতির সমান।
২) ১০০ কোটি-মুখী অর্থনীতি
ডিভাইস, গ্রাহক, প্রসেসিং ও ডেটার মধ্যে যোগাযোগকারী নেটওয়ার্কের বিবরণ মেলে `ইন্টারনেট অফ এভরিথিং`-এ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক বেড়ে দাঁড়াবে ১০,০০০ কোটি ডিভাইসে। প্রতিটি ডিআইসে থাকবে কমপক্ষে ১২টি সেন্সর। এর জেরে তৈরি হবে ১০০ কোটি-মুখী অর্থনীতি যার মাধ্যমে এমন এক ডেটা-বিপ্লব ঘটবে যা বর্তমানের তুলনায় অকল্পনীয়। সিসকো-র সাম্প্রতিপ রিপোর্ট অনুসারে, `ইন্টারনেট অফ এভরিথিং` থেকে ১৯০০ কোটি ডলার মূল্যের নতুন মূল্যাবধারণ সম্ভব হবে।
৩) নিখুঁত জ্ঞান
আমরা নিখুঁত জ্ঞানার্জনের পথে এগিয়ে চলেছি। ১০০ কোটি সেন্সরের মাধ্যমে (এর মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, উপগ্রহ ব্যবস্থা, ড্রোন, ক্যামেরা এবং ওয়্যারেবলস) আহৃত তথ্য প্রতিনিয়ত, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে, এমনকি মহাকাশেও যে কোনও বিষয়ে এবং যে কোনও সময়ে সাম্প্রতিকতম খুঁটিনাটি তথ্য জোগাতে সক্ষম হবে।

৪) ৮০০ কোটি কানেক্টেড জনতা
ফেসবুক (ইন্টারনেট ডট অর্জ), স্পেস এক্স, গুগল (প্রজেক্ট লুন), কুয়ালকম এবং ভার্জিন (ওয়ান ওয়েব) পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আঁওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে, যার গতি সেকেন্ডে এক মেগাবিটের বেশি হবে। এই পরিকল্পনা সফল হলে আগামী ১০ বছরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ৩০০ কোটি থেকে বেড়ে ৮০০ কোটিতে পৌঁছবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর জেরে অতিরিক্ত হাজার হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। মনে রাখতে হবে, নয়া প্রজন্মের ইউজাররা অনলাইনে যুক্ত হবেন ১ এমবিপিএস কানেকশনের মাধ্যমে এবং তাঁদের বিবিধ প্রশ্নের উত্তর মিলবে গুগল, ক্লাউড থ্রি-ডি প্রিন্টিং, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, ওয়াটসন-এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউডফান্ডিং, ক্লাউডসোর্সিং-এর মতো অসংখ্য উত্‍স থেকে।
৫) প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পতন
আগামী এক দশকে চলতি চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমে অবলুপ্ত হবে কারণ এক্ষেত্রে প্রচুর নয়া প্রকল্প আসবে যা উন্নত এবং গতিসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে। হাজার হাজার স্টার্টআপস এবং তার সঙ্গে বর্তমানের ডেটা ভাণ্ডার (গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফ্ট, স্যাপ, আইবিএম, ইত্যাদি) ৩৮০০ কোটি ডলার মূল্যের চিকিত্‍সা ব্যবসায় লগ্নি করতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আজকের পৃথিবীতে উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে হলে যে লাল ফিতের ফাঁসের ঝক্কি প্রতিনিয়ত পোহাতে হয়, তার অবসান হবে। বায়োমেট্রিক সেন্সিং (যেমন গুগল গ্লাস) এবং আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অর্থাত্‍ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আমরা প্রত্যেকে নিজের শরীর-কারখানার সিইও হিসেবে কাজ করব। অত্যাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ক্যান্সার, হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও স্নায়ুর বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ ও চিকিত্‍সা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকবে আমাদের হাতের মুঠোয়। জটিল থেকে সাধারণ, সমস্ত সার্জারি নিখুঁত ভাবে সারবে রোবোট চিকিত্‍সকরা। ঝামেলা থাকবে না অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও। কারণ প্রত্যেক মানুষ নিজের বিকল্প হৃদযন্ত্র, কিডনি, লিভার বা ফুসফুস দরকার হলে নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।
৬) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
এক্ষেত্রে ফেসবুক (Oculus), গুগল (Magic Leap), মাইক্রোসফ্ট (Hololens), সোনি, কুয়ালকম, এইচটিসি-র মতো বহুজাতিক সংস্থা এর মধ্যেই বিশাল মূল্যের অর্থ লগ্নি করে বসে আছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ডিসপ্লে ও ইউজার ইন্টারফেস-এর জগতে তাই নয়া বিপ্লব ঘটতে চলেছে।
৭) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাহীন উন্নতি
এ যুগে যদি মনে করেন Siri অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কীয় গবেষণা পরবর্তী দশকে Siri-কে এতটাই উন্নত করবে যা যে কোনও সমস্যা বুঝে ঝটিতি সমাধান করতে সক্ষম হবে। অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা গ্রাহকের সমস্ত মেসেজ, ই-মেল পড়তে ও জবাব দিতে পারবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ডেটা স্ক্যান করে দিতে পারবে পলকে।
৮) ব্লকচেইন
Blockchain সম্পর্কে না জানলে অবিলম্বে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে রাখা দরকার। বিটকয়েন সম্পর্কে অনেকের কিছুটা ধারণা হয়তো আছে। আন্তর্জাতিক এই ক্রিপ্টোমুদ্রা আসলে ব্লকচেইনের উপর ভিত্তি করেই সৃষ্টি হয়েছে। ব্লকচেইন এমন এক প্রোটোকল যার সাহায্যে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির নিরাপদ ও সরাসরি আদান-প্রদান সহজ হবে। এক কথায়, ডিজিটাল লেনদেনের গোটা সংজ্ঞাই পাল্টে যাবে এই এক দশকে। মার্ক অ্যান্ড্রিসেন-এর মতো সংস্থা এর মধ্যেই এই ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
সুতরাং, বলাই যায় এই মুহূর্তে আমরা এমন এক পরিবর্তনশীল সময়ে বাস করছি, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এক্ষেত্রে একমাত্র অনড় উপাদান পরিবর্তন স্বয়ং।



৬০ বছরের বৈজ্ঞানিক ধারণা সত্য প্রমাণ করলেন তরুণী (ভিডিও)

পৃথিবীর চারদিকে চৌম্বক ক্ষেত্রের কাঠামো নিয়ে প্রচলিত ৬০ বছরের পুরনো তত্ত্বকে অবশেষে সরাসরি সত্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বড় বড় বিজ্ঞানীরা যে কাজটি এতো দিন ধরে করতে পারেননি, তা করে দেখিয়েছেন মাত্র ২৩ বছরের এক তরুণী।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ক্লিও লই এই অসাধ্য সাধন করেছেন। নিজের গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি পৃথিবী গ্রহের ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের চিত্রটিকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত চার্জযুক্ত বাষ্পীয় কণা নির্গত হচ্ছে। এর সঙ্গে সুপারনোভার মতো উৎস থেকে যোগ হচ্ছে মহাজাগতিক রশ্মি। এসব কণা যখন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হয়, তখন তা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ সময় কিছু কণা পথচ্যুত হয় এবং কিছু অংশ মেরুর দিকে পরিচালিত হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি দৃশ্যমান হতে পারে, ঠিক যেভাবে মরুজ্যোতির সৃষ্টি হয়।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের অভ্যন্তরীন স্তর হিসাবে যুক্ত হয় আয়নোস্ফিয়ার এবং প্লাজমাস্ফিয়ার। এই অংশের পুরো গঠন সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা নেই। এগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। আয়নোস্ফিয়ার স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে এবং এই চিত্র গৃহীত হয় রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে।

ক্লিও তার অনার্স প্রজেক্টে এ কাজ করতে গিয়ে উপলব্ধি করেন, তিনি মার্কিসন ওয়াইডফিল্ড অ্যারি (এমডাব্লিউএ) রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমেই তিনি ম্যাগনেটিক ফিল্ডের চিত্র ধারণ করেছেন যা এ যাবতকাল এ কাজে ব্যবহৃত হয়নি। এমডাব্লিউএ হলো স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারি (এসকেএ) এর অগ্রদূত যাতে তিন কিলোমিটারজুড়ে ১২৮টি অ্যান্টেনা যুক্ত রয়েছে।
ক্লিও পরামর্শ দেন, ওই অ্যারি এর পূর্ব এবং পশ্চিম কোণ থেকে দুই ভাগে বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে ত্রিমাত্রিক চিত্রটি পাওয়া যায়।
লই আয়নোস্ফিয়ার ও প্লাজমাস্ফিয়ারের সঙ্গে উচ্চ এবং নিম্ন ঘনত্বের প্লাজমা টিউবের সংযোগ ঘটিয়েছেন। এরা সমদূরত্বে থেকে পাশাপাশিভাবে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের দিকে ধাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভূমি থেকে ৬০০ কিলোমিটার উর্ধ্বে আয়নোস্ফিয়ারের উর্ধ্বাংশ পর্যন্ত এদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছি। এরা প্লাজমাস্ফিয়ার পর্যন্ত উঠে গেছে এবং মোটামুটি যেখানে নিউট্রাল অ্যাটমোস্ফিয়ার শেষ হয়েছে সে অবধি চলে গেছে।
এমডাব্লিউএ এর ৩০ ডিগ্রি কোণে বিশাল বিশাল ফিল্ড দেখতে পেয়েছেন লই। আয়নোস্ফিয়ার নিয়ে গবেষণা করতে এসকেএ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে এ গবেষণা বিষয়ে আরো কাজ হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে, জানান ক্লিও।
click করুন ভিডিও দেখুন



ফাঁস হলো সালমান খানের বিয়ে না করার গোপন কারণ!

প্রিয় তারকাকে বিয়ের পিঁড়িতে দেখতে চান বহু ভক্ত। বিশেষ করে সালমান খানের জন্যে অসংখ্য ভক্ত বহুদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন। সম্প্রতি বিয়ে না করেও সন্তানের বাবা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই তারকা। অনেকেই মনে করছেন, দাবাং খান এ জীবনে হয়তো আর বিয়ে করবেন না। এর পেছনে বেশ কিছু কারণও খতিয়ে দেখেছেন বোদ্ধারা। সালমানের বিয়ে না করার পেছনের কারণগুলো আপনারাও দেখে নিন।
১. চলতি বছরে দুটো ইচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হয় সালমানের কাছ থেকে। তিনি বলেন, হয় বিয়ে করছেন দেখতে চান। অথবা তিন খান মিলে একটি ছবিতে অভিনয় করছেন- এমন ইচ্ছার কথা জানান। তবে দ্বিতীয়টি দেখতেই বেশি আগ্রহী তিনি। মূলত বিয়ের প্রতি সালমানের কোনো আগ্রহ রয়েছে বলে মনে হয় না। সব সময় এ প্রসঙ্গে বেশ নোনতা জবাব দেন তিনি।
সালমান খান

২. সালমানের বহু দিনের বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা সাজিদ নাদিয়াড়ওয়ালা। বন্ধু জানান, এক সময় তারা দুজনই ঠিক করেছিলেন যে বিয়ে করে ফেলবেন। ১৯৯৯ সালে দুজন একই দিনে বিয়ে করার পরিকল্পনা পাকা করে ফেলেছিলেন। সাজিদ জানান, ওই দিন যেকোনো এক প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা বলেছিলেন সালমান। কিন্তু তাও আজ অবধি ঘটেনি।
৩. ৪৯ বছর বয়সেও বলিউডের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষদের একজন সালমান। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সালমানের উপস্থিতি সব সময় নিরাপদ। বিয়ের বিষয়ে সব সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হন সালমান। প্রতিবারই তার জবাব থাকে, এ বছরই করে ফেলবো। ভক্তদের এই অপেক্ষার পালা শেষ হবে বলে মনে হয় না। আর এই মধুর অপেক্ষায় রাখতে ভালো লাগে সালমানের।
৪. ভাগ্নে-ভাগ্নী আর ভাতিজা-ভাতিজীদের নিয়েই তার সংসার। এদেরকেই নিজের সন্তান বলে মনে করেন সালমান। কাজেই তার কাছে বিয়ে এবং নিজের সংসারের প্রয়োজন নেই। ‘গোল্ডেন হার্ট’ বলে পরিচিত সালমানের কাছে বিষয়টি বেশ সিরিয়াস হতেই পারে।
৫. আবার বহুবার সালমান বলেছেন, তিনি সঠির নারীর জন্যে অপেক্ষায় আছেন। অতীতে বহু জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু তিনি কখনোই মিস পারফেক্ট এর দেখা পাননি। আর না পাওয়া পর্যন্ত এমনটা চলতেই থাকবে।
৬. সালমানের ভালো বন্ধু হিসেবে আমির খানের নাম সবাই জানেন। আমিরের মতে, বহু নারী সালমানের বউ হতে মুখিয়ে আছেন। কিন্তু সালমানের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। আমিরের বহু অনুরোধ সালমান অতীতে রেখেছেন। এই বন্ধুর কথা ফেলে দিতে পারেন না সাল্লু। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে কোনভাবেই মানাতে পারেননি বন্ধুকে।
৭. সালমানের চলমান ‘হিট অ্যান্ড রান’ কেস বিয়ে না করার আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। এর একটি সমাধা হওয়ার পর হয়তো তিনি ঝামেলাবিহীন সংসার শুরু করবেন। তারপরও বলা যায় না, সালমান আদৌ বিয়ে করবেন কিনা।

বিনোদন ডেস্ক 

ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে মুসলিম হলেন তামিল নায়িকা মনিকা

ইসলামের জীবন দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও তারকা মনিকা। গত ৩০ মে মুসলমান হবার পর তিনি নিজের জন্য নতুন নাম পছন্দ করেছেন এমজি রহিমা। 
তেলেগু, মালায়লাম এবং কান্নাডা ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে।
মুসলিম হলেন নায়িকা মনিকা

গত শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি নিজের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের কারণ ব্যাখ্যা করেন।প্রেস ব্রিফিং এ মনিকা (নতুন নাম রহিমা) বলেন, আমি টাকা কিংবা প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিনি। ইসলামের নিয়মকানুন ও রীতিনীতি পছন্দ করেই আমি এ ধর্ম গ্রহন করেছি। ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর তিনি আর সিনেমায় অভিনয় করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এবং তা ২০১৪ সালের মতেই শেষ বলে জানান তিনি। মনিকা চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ছোট বেলায় অভিনয়ে তিনি তামিল নাডুর জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেন।
চেন্নাইয়ের মাধুরা শহরের উদ্যোক্তা মালিকের সাথে তার বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ১১ই জানুয়ারি। মনিকার পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ছেলে মালিক।
জন্মের পর রেখা মারুথিরাজ নামে বেড়ে উঠেন মনিকা। পরে তামিল এবং তেলেগু সিনেমায় অভিনয় করতে এসে তার নাম হয় মনিকা। মালায়লাম সিনেমায় অভিনয় করতে এসে আবারও তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পারভানা।
তার অভিনীত সিনেমা গুলির মধ্যে ইনিদু ইনিদু কাদাল ইনিদু, ইসাই আরাসান ২৩ত্ম পুলিকেসি, ভারনাম এন্ড জান্নাল অরাম জনপ্রিয়।

বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘ ৫ বছর পর ঢাকা মাতাতে এসে পৌঁছেছেন শ্রেয়া

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতীয় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ‘শ্রেয়া ঘোষাল নাইট’ শিরোনামের কনসার্টে অংশ নিতেই দীর্ঘ ৫ বছর পর ঢাকায় এলেন শ্রেয়া।
রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে অায়োজিত এ কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন শ্রেয়া। বিমান বন্দর থেকে তিনি রাজধানীর অভিজাত হোটেল ওয়েস্টিনে উঠেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বে এন্টারটেইনমেন্টের মিডিয়া।
সন্ধ্যা ৭টায় ভেন্যুতে উপস্থিত হবেন শ্রেয়া। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্টেজে উঠবেন এ কণ্ঠশিল্পী।
এ অনুষ্ঠানে শ্রেয়া ঘোষাল ছাড়াও আরো গান গাইবেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকেশ। থাকবে নাচের দল এবং একাধিক কমেডিয়ান। কনসার্টির প্রমোশনাল অ্যান্ড টিকেট পার্টনার- দ্য এজেন্সি সলিউশন।

অনুষ্ঠানটির মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা আফরিদ হাসান জানান, এ অনুষ্ঠানের টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে যথাক্রমে ডায়মন্ড ১০ হাজার, প্লাটিনাম সাড়ে ৭ হাজার, গোল্ড ৫ হাজার ও সিলভার ৩ হাজার টাকা। কনসার্ট চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। ৬ জুন শনিবার সকালের একটি ফ্লাইটে ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। অনুষ্ঠানের টিকিট পাওয়া যাবে রাজধানীর সব ‘স্বপ্ন’ সুপারশপ, আলমাস, নর্থ ওয়েস্ট এভিয়েশন, অয়েলপুড, আপন জুয়েলার্স, দ্য মিরেজ, মিন্ট, স্বপ্ন, আল-বাক, ব্লকবাস্টার, সিনেপ্লেক্স থার্টি থ্রি, দি ওয়েস্টিন ঢাকা, আই এ্যয়াম ঢাকা, ই-টিউনস এবং টিকিট চাই ডটকমে।