Monday, August 1, 2016

নির্যাতন মধ্যে লক্ষ্যনীয় গুলো যেমন ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, শারিরিক এবং মানসিক নির্যাতন

জ্ঞান-বিজ্ঞান- প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে আর এমন সময় আমাকে “নারী নির্যাতন” প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিষয়ের উপর গবেষণা করতে হচ্ছে। যদিও আমার কাছে গবেষণাগার নাই তাই বলে বসে থাকলেতো হবে না। কোনো না কোনো মানুষকে এই ব্যাপারে কথা বলতে হবে তাই নাহ? আসলে আমাদের দেশে ‘নারী’ শব্দটি কি নির্যাতন ও শোষণের প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে? আসুন সামনের দিকে এগিয়ে যায় আমার বলার কি আছে এই লিখাতে।
|
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আসলেই এগিয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা আমার থেকে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। দিনের পর দিন পরিবর্তিত হচ্ছে আমাদের সমাজের কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে আমাদের সুশীল সমাজ সভ্যতায়। যদিও এখনো পুরোপরি সভ্যতা ধারন করতে পারি নাই। তবে একটা সময় পুরোপরি হয়ে যাবে আশা করি আমি। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। উন্নত হচ্ছে দিনের পর দিন আমাদের এই বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়! নারী সমাজের সাফল্যের প্রতিধ্বনি শোনা যায় সর্বক্ষণে ও সর্বক্ষেত্রে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি-“নারী নির্যাতন” আর হবে কিনা জানিও না। যদিও আমরা মুখে ফটর ফটর করে বলি অনেক কমে গেছে আমাদের নারী নির্যাতন, আসলে কি কমে গেছে তা? আমাদের দেশের সর্বোচ্চ পদে যারা রয়েছে তারাই হচ্ছেন নারী......এক নজরে দেখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলেরও প্রধান হচ্ছেন নারী আর মহান সংসদের স্পিকার পদেও স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে আছেন একজন নারী। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পদেও নারী। তার মানে বাংলাদেশের উচ্চ পদের মাথা গুলো হল এখন নারী। অথচ যখন ‘নারী নির্যাতনের’ বিষয়টি তাদের চোখের সামনে চলে আসে তখন তাদের হৃদয়ে যেন নীরবতার রক্তক্ষরণ প্রতিযোগীতায় নেমে যায় একের পর একেক জন। দেখি না তাদের মাঝে এর কোন সুরাহা আশার আলো প্রতিফলন ঘটাতে। ক্ষমতায় থেকে তারা সংবাদ সম্মেলনে দুই চারটা কথা বলেই মনে করে তাদের কাজ শেষ। এই যে ক্ষমতাধীন ব্যক্তিরা আপনারা সংবাদ সম্মেলনে দুই চারটা কথা বলেই কি মনে করেন এতেই কাজ হয়ে যাবে? এই সমান্যে প্রতিবাদে থেমে যাবে “নারী নির্যাতন”? নারী নির্যাতন যদিও এটা তাদের কাছে সাধারণ সব কিছুর মতই নিত্য ব্যাপার। অথচ দিনের পর দিন সাধারণ জনগনের কাছে “নারী নির্যাতন” অসাধারণ এক পরিণতি হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সেটার নজর আমাদের ক্ষমতাধিরশীলের চোখের নজরে পড়ছে না। ভবিষ্যেতে পড়বে কিনা জানি না। আমি গত কয়েক মাস ধরে খবরের কাগজ পড়ছি প্রতিদিন। প্রতিদিন সংবাদ পত্রের প্রথম পাতায় “নারী নির্যাতনের” চিত্র বা খবর মনকে হতাশা গ্রস্থ করে তুলেছে আমাকে। খবরের কাগজে পড়লেই চোখের সামনে সবার আগে আসে “নারী নির্যাতনের” খবরটি। দুনিয়ার এত খবর থাকতে যে আমার চোখে এইটা পড়ে কেন বুঝনা। আর এসব নির্যাতন মধ্যে লক্ষ্যনীয় গুলো যেমন ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, শারিরিক এবং মানসিক নির্যাতন, এমনকি হত্যা। হত্যাতো এখন খেলায় পরিণতি হয়েছে, কোন একদিন এই খেলার উপর প্রতিবেদন তৈরি করবো ভাবছি। যাইহোক নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে “মানসিক নির্যাতন”। যদিও আমি ছেলে কিন্তু এইটা বুঝতে পারি “মানসিক নির্যাতন” হচ্ছে খুব কষ্টদায়ক আর এ কারণে হয়তো-বা অনেক নারীর নীরব হাহাকার চার দেয়ালের ভেতরে ঘুরে বেড়ায়। বর্তমান আমাদের সমাজে নারীরা স্বামীর হাতে বেশি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। শুধু কি স্বামীর থেকে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে নারীর? মাঝে মাঝে আমার কাছে হাস্যেকর কথা বলাতে ভালো লাগে, তা-নাহলে কবে কোন ছেলে ক্ষেপে যায় আমার উপরে....... যাইহোক ইদানিংতো একটা অভিযোগও উঠে আসছে, প্রেমিকাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেছে প্রেমিক হি হি হি হি। যাইহোক “শুধু কি স্বামীর থেকে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে নারীরা?” তবে নারীরাও নারীর হাতে নিপীড়নের শিকার হন। এই যেমন ধরুণ শাশুড়ি ও ননদের কাছে, গল্প নয় ইদানিং এটা শুনা যাচ্ছে ঘরের ছোট বউরা, বড় বউদের হাতে মানসিক নির্যাতন শিকার হচ্ছে। আমার কথা কি বিশ্বাস হচ্ছে না তাইতো? কেন আপনারা স্টার প্লাস ও স্টার জলসা চ্যানেল দেখেন না? সেখানেতো দেখায়, এই চ্যানেল গুলোতে এইসব দেখায়তো, এই চ্যানেল গুলোর প্রভার আমার দেশের রমণী নারীদের মাঝে প্রচুর প্রভাব বিস্তার করছে।
|
“” ২০১৩ থেকে ২০১৪ এক বছরে বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তৈরি করা পরিসংখ্যানমতে, নির্যাতিত নারীদের মাত্র ২% আইনের আশ্রয় নেন।“” (এই তথ্যটি collect করেছি)
|
লোক লজ্জার ভয় এবং অন্তর্মুখীনতার কারণে অনেক নারী তার নির্যাতনের কথা লুকিয়ে রাখে। আসলে আমরা যে সমাজে বাস করি তা লুকিয়ে না রেখে উপায় ছিলো না, সমাজে নিজের এবং যে পরিবারে বসবাস করি সেই পরিবার সমাজের মাঝে ছোট হয়ে যাবে বলে বাধ্য হয়ে নারীরা নিজেই হজম করে নেই এই নির্যাতনকে। তাই তার না বলা কথা গুলো আর কেউ জানতেও পারেনা। সেসব যদি উঠে আসতো তাহলে প্রকৃত পরিসংখ্যানের চিত্র হয়তো শিউরে উঠার মতোই ভয়াবহ হয়ে যেতো। তাই আমার মতে নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে এবং সমাজকে বদলাতে গেলে প্রয়োজন সচেতনতা, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং বহুমাত্রিক তৎপরতা......
আমি মনে করি সমাজে নারীর কঠোর আবস্থান তৈরি করতে পারবে, তাদেরকে –প্রথমত যা করতে হবে। নিজেকে ক্ষমতাহীন করে রাখার ধ্যান-ধারণা বদলাতে হবে এবং অবশ্যই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। শিক্ষা, চাকরি, পুজি দিয়ে নারীকে স্বনির্ভর করে তোলার মানসিকতা অর্জন করতে হবে প্রতিটি পরিবারকে। তাহলেই আমাদের প্রত্যাশা নারী নির্যাতন মুক্ত একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণসহ অবস্থানের নিরাপদ সমাজ গঠন করতে পারবো।
|
নোট: এইখানে কিছু তথ্য জোগার করা হয়েছে, তথ্য গুলো ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টি চোখে দেখবেন।

1 comment: